সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

রেশম “তন্তুর রানি”

রেশম “তন্তুর রানি”

রেশম “তন্তুর রানি”

জাপানের সচেতন থাক! লেখক কর্তৃক

বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর কিছু পোশাকের—জাপানের কিমোনোর, ভারতের শাড়ির এবং কোরিয়ার হানবকের—সবগুলোরই একটা দিক দিয়ে মিল রয়েছে। প্রায়ই সেগুলো এক উজ্জ্বল সুতো—রেশম—দিয়ে তৈরি, যেটাকে তন্তুর রানি বলা হয়। অতীতের রাজা-রানিদের থেকে শুরু করে বর্তমানের সাধারণ লোক, বিশ্বব্যাপী সকলেই রেশমের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছে। কিন্তু এটা সবসময়ই এতটা প্রাপ্তিসাধ্য ছিল না।

প্রাচীনকালে রেশম শিল্প শুধুমাত্র চিনেই ছিল। অন্য আর কেউই জানত না যে, এটা কীভাবে উৎপাদন করতে হয় এবং চিনের কোনো ব্যক্তি যদি গুটিপোকার সাহায্যে রেশম উৎপাদনের রহস্য অন্যদের জানাতেন, তা হলে তাকে একজন বিশ্বাসঘাতক হিসেবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতো। তাই এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, রেশম উৎপাদনে এই একচেটিয়া অধিকার রেশমকে বেশ দামি করে তুলেছে। উদাহরণস্বরূপ, রোমীয় সাম্রাজ্য জুড়ে রেশম সোনার মতোই দামি ছিল।

এক সময়ে, চিন থেকে রপ্তানিকৃত সমস্ত রেশম পারস্য নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছিল। কিন্তু, রেশমের দাম তখনও বেশ চড়া ছিল আর এই ব্যবসায় পারস্যের বণিকদের ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। তাই, বাইজেনটিয়ামের সম্রাট জাসটিনিয়ান একটা ফন্দি আঁটেন। সা.কা. প্রায় ৫৫০ সালে, তিনি দুজন ভিক্ষুকে এক গোপন উদ্দেশ্যে চিনে পাঠান। দুবছর পর তারা ফিরে আসে। তাদের বাঁশের ছড়ির ফাঁপা অংশে বহু প্রতীক্ষিত রত্ন—রেশম মথের ডিম—লুকোনো ছিল। রহস্য উন্মোচিত হয়ে গিয়েছিল। রেশম শিল্পের একচেটিয়া অধিকার শেষ হয়ে গিয়েছিল।

রেশমের রহস্য

রেশম উৎপন্ন হয় গুটিপোকা বা রেশম মথের শুঁয়োপোকা থেকে। শত শত প্রকারের গুটিপোকা রয়েছে কিন্তু যে-মথ সর্বোৎকৃষ্ট মানের রেশম উৎপন্ন করে, সেটার বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে বোম্বিক্স মোরি। রেশমি সুতো তৈরি করতে অনেক অনেক গুটিপোকা লাগে, যা রেশম চাষ ও রেশম মথ প্রতিপালনের প্রসার ঘটিয়েছে। জাপানের গুনমা প্রিফেকচারে বসবাসরত শোইচি কাওয়াহারাদা পরিবার, এই দেশে প্রায় ২,০০০ পরিবারের মধ্যে একটা, যারা এখনও এই শ্রমসাধ্য কাজ করে চলেছে। রেশম চাষের জন্য উপযোগী করে তৈরি তার দুতলা বাড়িটা একটা পাহাড়ের পাশে অবস্থিত, যেখান থেকে তুঁত গাছের বাগান দেখা যায় ().

স্ত্রী রেশম মথ ৫০০টা পর্যন্ত ডিম পাড়ে, যেগুলোর প্রত্যেকটার আকার আলপিনের মাথার মতো (). প্রায় ২০ দিন পর, ডিমগুলো ফুটে বাচ্চা বের হয়। ছোট ছোট গুটিপোকার প্রচণ্ড খিদে থাকে। দিন-রাত সেগুলো কেবল তুঁত গাছের পাতাই খেয়ে থাকে (৩, ৪). মাত্র ১৮ দিনের মধ্যে, গুটিপোকাগুলো তাদের আসল আকারের চেয়ে ৭০ গুণ বড় হয়ে যায় এবং চার বার খোলস বদলায়।

মি. কাওয়াহারাদার খামারে প্রায় ১,২০,০০০ গুটিপোকা প্রতিপালন করা হয়। তাদের খাওয়ার শব্দ অনেকটা পাতার ওপর মুষলধারে বৃষ্টি পড়ার আওয়াজের মতো শোনায়। একটা পরিণত গুটিপোকার ওজন এর জন্মের সময়কার ওজনের চেয়ে ১০,০০০ গুণ বেশি! এখন এটা একটা কোকুন তৈরির জন্য প্রস্তুত।

নিঃশব্দ চরকা

পরিণত গুটিপোকার শরীর আংশিক স্বচ্ছ থাকে, যা ইঙ্গিত করে যে, সুতো প্যাঁচানোর সময় হয়ে গিয়েছে। গুটিপোকাগুলো যখন অস্থির হয়ে ওঠে ও কোকুন তৈরির জন্য জায়গা খুঁজতে থাকে, তখন সেগুলো একটা কিউবিক্যালে (ছোট ছোট কুঠরিবিশিষ্ট একটা বড় বাক্সে) রাখার জন্য তৈরি থাকে। সেখানে সেগুলো এদের সূক্ষ্ম, সাদা সুতো নির্গত করে (), নিজেদের রেশমের মধ্যে আবদ্ধ করে।

মি. কাওয়াহারাদার জন্য এটাই হচ্ছে সবচেয়ে ব্যস্ত সময় কারণ ১,২০,০০০ গুটিপোকার মধ্যে সবগুলোই প্রায় একই সময়ে সুতো প্যাঁচাতে শুরু করে। তার বাড়ির দুতলাতে ঠাণ্ডা, বায়ুনির্গমনের পথ রয়েছে এমন ঘরে সারি সারি করে অনেক কিউবিক্যাল ঝুলানো থাকে ().

এই সময়ের মধ্যে গুটিপোকার ভিতরে এক বিস্ময়কর পরিবর্তন ঘটছে। পরিপাককৃত তুঁত গাছের পাতা ফাইব্রয়েন নামে এক ধরনের প্রোটিনে পরিণত হয়ে শুঁয়োপোকার আকারের সমান এক জোড়া গ্রন্থির মধ্যে জমা হয়। এই গ্রন্থিগুলোর মধ্যে দিয়ে যখন ফাইব্রয়েন নিঃসৃত হয়, তখন এতে সেরিসিন নামক এক ধরনের আঠালো পদার্থের প্রলেপ থাকে। গুটিপোকার মুখে অবস্থিত স্পিনারেটের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসার আগে, দুটো ফাইব্রয়েন তন্তু সেরিসিনের দ্বারা একসঙ্গে আবদ্ধ থাকে। বায়ুর সংস্পর্শে এসে এই তরল রেশম একটা সুতো তৈরির মতো ঘন হয়ে ওঠে।

গুটিপোকা একবার রেশম তৈরি করতে শুরু করলে, তা চলতেই থাকে। গুটিপোকা প্রতি মিনিটে ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার গতিতে সুতো প্যাঁচাতে থাকে, পুরো সময়ই এর মাথা ঘোরায়। একটি প্রবন্ধ হিসেব করে বলে যে, একটা সম্পূর্ণ কোকুন তৈরির সময়ে গুটিপোকা প্রায় ১,৫০,০০০ বার এর মাথা ঘোরায়। দুদিন দুরাত মাথা ঘোরানোর পর, গুটিপোকা ১,৫০০ মিটার দীর্ঘ একটা সুতো তৈরি করে। এটা একটা গগনস্পর্শী বিল্ডিংয়ের প্রায় চার গুণ!

মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে মি. কাওয়াহারাদা তার ১,২০,০০০ কোকুন সংগ্রহ করেন, যেগুলোকে এরপর প্রক্রিয়াজাত করার জন্য প্রেরণ করা হয়। একটা কিমোনো বানাতে প্রায় ৯,০০০ কোকুন লাগে এবং একটা টাই বানাতে প্রায় ১৪০টা কোকুন লাগে আর একটা রেশমি স্কার্ফের জন্য ১০০টারও বেশি কোকুন লাগতে পারে।

রেশমি সুতো যেভাবে তৈরি হয়

একটা কোকুন থেকে রেশমের প্যাঁচ খুলে, একটা রিলে আবার প্যাঁচানোর পদ্ধতিকে রিলিং বলে। রেশমের রিলিং করা কীভাবে শুরু হয়েছিল? এই বিষয়ে অনেক কাল্পনিক ও লোককাহিনী রয়েছে। একটা লোককাহিনী অনুসারে, চিনের সম্রাজ্ঞী শি লিং শি লক্ষ করেন যে, তার চায়ের কাপে তুঁত গাছ থেকে একটা কোকুন পড়েছে। তিনি এটাকে সরানোর চেষ্টা করার সময় দেখতে পান যে, একটা সূক্ষ্ম রেশমি সুতো বেরিয়ে এসেছে। এভাবে রিলিংয়ের উৎপত্তি হয়, যে-প্রক্রিয়াটা বর্তমানে স্বয়ংক্রিয় মেশিনের দ্বারা করা হয়।

কোকুনগুলো বিক্রি করার জন্য সেগুলোর ভিতরের পিউপাগুলো বেরিয়ে আসার আগেই সেগুলোকে মেরে ফেলতে হবে। এই কঠিন কাজটা করার জন্য তাপ প্রয়োগ করা হয়। ত্রুটিযুক্ত কোকুনগুলোকে আলাদা করা হয় এবং যেগুলো বাকি থাকে, সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করার জন্য তৈরি থাকে। সুতোগুলোকে আলগা করার জন্য প্রথমে কোকুনগুলোকে হয় গরম জলে ভিজিয়ে রাখা হয় অথবা বাষ্পীভূত করা হয়। এরপর, ঘূর্ণায়মান ব্রাশের দ্বারা সুতোর প্রান্তগুলো সংগৃহীত হয় (). সুতো কতটা মোটা হবে তার ওপর নির্ভর করে, দুই বা ততোধিক কোকুন থেকে সুতো বের করে পাকিয়ে একটা সুতো বানানো হয়। সুতোটা শুকানো হয় এবং একটা রিলের মধ্যে প্যাঁচানো হয়। কাঙ্ক্ষিত দৈর্ঘ্য ও ওজনের লাছি সুতো তৈরি করার জন্য আরেকটা বড় রিলের মধ্যে সেই র-সিল্ক আবারও প্যাঁচানো হয় (৮, ৯).

রেশমি সুতো এতটাই নরম ও মসৃণ যে আপনি হয়তো এই কাপড় দিয়ে আলতোভাবে আপনার গাল স্পর্শ করতে চাইবেন। এর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের কারণটা কী? একটা বিষয় হচ্ছে, আঠাহীন করা বা ফাইব্রয়েনের ওপর যে-সেরিসিনের প্রলেপ থাকে, তা সরিয়ে ফেলা। যে-রেশমকে আঠাহীন করা হয়নি, সেগুলোকে খসখসে বলে মনে হয় এবং রং করা বেশ মুশকিল। শিফন কাপড়ে খসখসে বুনন রয়েছে, কারণ তাতে কিছুটা সেরিসিন রয়েই যায়।

দ্বিতীয় বিষয়টা হচ্ছে, সুতোটাকে কত বার পাকানো বা প্যাঁচানো হয়। জাপানি হাবুতায়ে সুতো নরম ও মসৃণ। এতে কোনো ভাঁজ নেই বা থাকলেও সামান্য। এর বিপরীতে, ক্রেপ কাপড় কুচকানো ও ভাঁজযুক্ত। এটা অনেকবার প্যাঁচানো হয়।

রং করা হচ্ছে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। রেশমি সুতোতে রং করা বেশ সহজ। ফাইব্রয়েনের গঠনের কারণে রং খুব গভীরে যায় ও এর ফলে ধোয়ার পরও রং অক্ষুণ্ণ থাকে। এ ছাড়া, সিনথেটিক তন্তুর বৈসাদৃশ্যে রেশমে পজেটিভ ও নেগেটিভ উভয় আয়নই রয়েছে, অর্থাৎ যেকোনো রংই এতে পাকা হবে। রেশম সুতো তাঁতে বোনার আগেই (১০) বা পরে এতে রং করা যায়। রেশমি কাপড় বোনার পর, কিমোনোর বিখ্যাত ইয়ুজেন রং করার পদ্ধতিতে সুন্দর করে নকশা আঁকা হয় এবং হাতে রং করা হয়।

যদিও এখন চিন ও ভারতের মতো দেশগুলোতে অধিকাংশ রেশমি কাপড় উৎপাদন করা হয় কিন্তু ফ্রান্স ও ইতালির ফ্যাশন ডিজাইনাররা এখনও রেশমি কাপড় তৈরিতে এগিয়ে রয়েছে। অবশ্য, আজকে পোশাক বানানোর জন্য অনেক সস্তা কাপড়ে রেয়ন ও নাইলনের মতো কৃত্রিম সুতো ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু তবুও রেশমের কোনো বিকল্প নেই। “বিজ্ঞানের বর্তমান অগ্রগতি সত্ত্বেও, সংশ্লেষণ পদ্ধতিতে রেশম উৎপন্ন করা যায় না,” জাপানের ইয়োকোহামার রেশম জাদুঘরের পরিচালক বলেন। “আমরা এর আণবিক সংকেত থেকে শুরু করে গঠন পর্যন্ত সবকিছুই জানি। কিন্তু, আমরা এটা হুবহু তৈরি করতে পারি না। সেটাকেই আমি রেশমের রহস্য বলি।” (g ৬/০৬)

[২৬ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

রেশমের বৈশিষ্ট্য

শক্ত: রেশমি সুতো, একই আকারের একটা স্টিলের সুতোর মতোই শক্ত।

উজ্জ্বল: রেশমি কাপড় মুক্তোর মতোই উজ্জ্বল। এর কারণ ফাইব্রয়েনের কয়েক স্তরবিশিষ্ট প্রিজমতুল্য গঠন, যা আলো বিকিরণ করে।

ত্বকের পক্ষে কোমল: রেশমি কাপড় আ্যমাইনো এসিড দিয়ে গঠিত, যা ত্বকের পক্ষে কোমল। কথিত আছে যে, রেশমি কাপড় বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ থেকে ত্বককে সুরক্ষা করে। রেশম পাউডার থেকে কিছু প্রসাধনসামগ্রী তৈরি করা হয়।

আর্দ্রতা শোষণক্ষম: রেশমি কাপড়ে বিদ্যমান আ্যমাইনো এসিড এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফাঁকা স্থান যথেষ্ট পরিমাণে ঘাম শুঁষে নেয় ও বের করে দেয়, যা গরমের সময় আপনাকে শুষ্ক রাখে ও আপনার পক্ষে আরামদায়ক হয়।

তাপ প্রতিরোধক: রেশমি কাপড় সহজেই দাহ্য নয় এবং আগুন ধরলে তা বিষাক্ত গ্যাস নির্গত করে না।

সুরক্ষামূলক: রেশম অতিবেগুনি রশ্মি শুঁষে নেয়, ফলে আপনার ত্বককে সুরক্ষা করে।

স্থির বিদ্যুৎ উৎপাদনপ্রবণ নয়: যেহেতু রেশমি কাপড়ে পজেটিভ ও নেগেটিভ উভয় আয়নই রয়েছে আর আর্দ্রতা শোষক, তাই অন্যান্য কিছু কাপড়ের মতো এটা সঙ্গে সঙ্গে স্থির বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে না।

রেশমি কাপড়ের যত্ন নেওয়া

ধোয়া: রেশমি কাপড়ের পোশাক সাধারণত ড্রাই-ক্লিনিং করানোই সবচেয়ে ভাল। যদি ঘরে ধোয়া হয়, তা হলে ঈষদুষ্ণ গরম জলে (প্রায় ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) কম ক্ষারযুক্ত (নিউট্রাল) ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন। হালকাভাবে ধরুন এবং কাপড় জোরে ঘষবেন না বা জল নিংড়াবেন না। বাতাসে শুকোতে দিন।

ইস্ত্রি করা: ইস্ত্রি ও রেশমি কাপড়ের মাঝখানে একটা কাপড় বিছিয়ে দিন। ১৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সুতোর বুনন যেদিকে, সেই অনুসারে ইস্ত্রি করার চেষ্টা করুন। সামান্য বাষ্প ব্যবহার করুন বা একদমই করবেন না।

ময়লা দূর করা: জরুরি প্রয়োজন দেখা দিলে রেশমি কাপড়টাকে উলটোভাবে এক টুকরো শুকনো কাপড়ের ওপর রাখুন। পিছন থেকে একটা ভেজা কাপড় দিয়ে না ঘষে বার বার ঝেড়ে ফেলে দিন। এরপর সেই কাপড়টাকে ড্রাই-ক্লিন করুন।

মজুত করা: আর্দ্রতা এড়িয়ে চলুন, মথ প্রতিরোধ করুন এবং আলো থেকে দূরে রাখুন। স্পঞ্জ লাগানো হ্যাঙ্গার ব্যবহার করুন বা যতটা সম্ভব কম ভাঁজ করে সমতল জায়গায় রাখুন।

[২৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

রেশমের কোকুনগুলো

[২৬ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]

৭-৯ নম্বর ছবিগুলো: Matsuida Machi, Annaka City, Gunma Prefecture, Japan; ১০ নম্বর এবং কাছ থেকে নেওয়া চিত্রগুলো: Kiryu City, Gunma Prefecture, Japan