সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

কত নিরীহ মানুষের অকালমৃত্যু!

কত নিরীহ মানুষের অকালমৃত্যু!

প্রচ্ছদ বিষয়: কেন এত দুঃখকষ্ট? কখন এটা শেষ হবে?

প্রচ্ছদ বিষয় কত নিরীহ মানুষের অকালমৃত্যু!

ছোট্ট হাসিখুশি নোয়েল ছবি আঁকতে ভালোবাসত। গ্রীষ্ম কালের এক সন্ধ্যায় তার বাড়ির পিছনে ঘোরাফেরা করতে করতে সে কোনোভাবে তাদের সুইমিং পুলে পড়ে যায়। তার চার বছর পূর্ণ হওয়ার দু-সপ্তাহ আগেই সে জলে ডুবে মারা যায়।

শার্লেট, ড্যানিয়েল, অলিভিয়া, জোসেফিন . . . এগুলো হল, ছয় থেকে সাত বছর বয়সি ২০ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে কয়েক জনের নাম। ২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের এক স্কুলে এই ২০ জন-সহ মোট ২৬ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এক স্মরণসভায় রাষ্ট্রপতি ওবামা সেই ছাত্র-ছাত্রীদের নাম উল্লেখ করেন এবং শোকাহত শ্রোতাদের বলেন: “এই ধরনের দুঃখজনক ঘটনাগুলো ঘটা বন্ধ করতে হবে।”

আঠারো বছর বয়সি বানো ১৯৯৬ সালে ইরাক থেকে তার পরিবারের সঙ্গে নরওয়েতে চলে আসেন। কিন্তু, দুঃখের বিষয় হল, তিনি ২০১১ সালের ২২ জুলাই এমন এক উগ্রপন্থীর হাতে মারা যান, যে ৭৭ জনকে গুলি করে হত্যা করেছিল আর পরে গর্ব করে বলেছিল: ‘আরও বেশি লোককে মারতে পারিনি বলে আমি ক্ষমা চাইছি।’

এই ধরনের হৃদয়বিদারক ঘটনাগুলোর খবর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বার বার পাওয়া যায়। দুর্ঘটনা, অপরাধ, যুদ্ধ, সন্ত্রাসবাদ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অন্যান্য দুঃখজনক ঘটনার ফলে যে-শোক ও কষ্টভোগ করতে হয়, সেটার বিষয়ে চিন্তা করুন। এত নিরীহ মানুষ মারা যায় আর এত দুঃখকষ্ট ভোগ করতে হয়, যেগুলোর পিছনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ থাকে না।

কেউ কেউ এই যুক্তি দেখিয়ে ঈশ্বরকে দোষারোপ করে যে, আমাদের সৃষ্টিকর্তা মানবজাতির জন্য চিন্তা করেন না। অন্যেরা এই উপসংহারে এসে পৌঁছায় যে, ঈশ্বর আমাদের দুঃখকষ্ট দেখেন কিন্তু কোনোভাবেই এতে হস্তক্ষেপ করতে চান না। আবার অন্যেরা বলে থাকে, এই ধরনের দুঃখজনক ঘটনাগুলো পূর্বনির্ধারিত। মনে হয় যেন, এই বিষয়ে মানুষের মতামতের শেষ নেই। তাহলে কোথায় আমরা নির্ভরযোগ্য ও সন্তোষজনক উত্তর খুঁজে পেতে পারি? পরবর্তী প্রবন্ধগুলোতে আমরা, দুঃখকষ্টের কারণগুলো কী এবং সেগুলো কীভাবে শেষ করা হবে, এই প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য ঈশ্বরের বাক্য বাইবেল পরীক্ষা করে দেখব। (w১৩-E ০৯/০১)

[৩ পৃষ্ঠার চিত্র]